ঘরোয়া যত্নে হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগ দূর করার উপায়
ঘরোয়া যত্নে হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগ দূর করার উপায়। শীতে ঘরোয়া উপায়ে হাতের কনুইর কালো দাগ দূর করার কার্যকরী পদক্ষেপ। পায়ের হাটু কেনো কালো হয় এবং ঘরোয়া সমাধান কি। হাতের কনুই মাশ্চারাইজার করার ঘরোয়া যত্ন। হাতের কনুই কেনো কালো দাগ হয়।
![]() |
ঘরোয়া যত্নে হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগ দূর করার উপায় |
হাতের কনুই কালো দাগ থেকে ফর্সা করতে অনেকেই বিভিন্ন রকম চেষ্টা করে। বিশেষ করে শীতের সময় অযত্নের ফলে একটু রুক্ষ হয়ে পরে। মানুষের হাত পা বিভিন্ন কারণে কালো দাগ পরতে পারে। হাতের কনুই বেশিরভাগ সময় ভাঁজ পরে থাকে তাই কালো থাকে। পায়ের হাঁটু ও তেমনি সব সময় ভাজ হয়ে থাকে তাই কালো বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া এই স্থান গুলো বেশি অযত্নে থাকে।
প্রতিদিন আমরা কতবার হাত নাড়াচাড়া করি এবং কতবার হাতের কনুইর চামড়া টান খায়। এমনটা হওয়ার কারনেই হাতের কনুই এবং পায়ের হাঁটু কালো হয়। যেহেতু এগুলো কালো হওয়ার কারণ বেশি তাই একটু বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত। সঠিক ভাবে যত্ন নিলে আপনার হাতের পায়ের দাগগুলো ফর্সা করা সম্ভব।
হাতের কনুই দিয়ে বিভিন্ন কারনে ভর দিতে হয়। তাছাড়া সবসময় মাইনর আঘাতে হাতের কনুই কিছুটা কালো হয়। নিয়মিত ঘরোয়া যত্নে হাতের কনুই এবং পায়ের হাটুর কালো দাগগুলো সরে যায়। তাছাড়া আগের চেয়ে ব্রাইট ভাব চলে আসবে। হাতের কনুইর দাগ দূর, হাতের কনুই এর কালো দাগ দূর করার উপায়। হাতের কালো দাগ দূর করার উপায়। হাতের কনুই ব্যথা দূর করার উপায় ও হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম।
কনুই এবং হাটুর দাগ দূর করার উপায়
আপনি অনেক সুন্দর কিন্তু আপনার হতের কনুই এবং পায়ের হাটুতে কালচে ভাব রয়েছে। হাঁটুর ও কনুইর দাগ আপনাকে নিজেকেই লজ্জায় ফেলবে। হাটু এবং কনুই সব সময় ভাজ হয়ে থাকে তাই অনেক ময়লা জমে যায়। তাছাড়া এখানে কোন তৈল গ্রন্থি ও থাকে না তাই এর ফলে শুষ্ক এবং খশখশে হয়ে যায়। আস্তে আস্তে কনুই এবং হাটুর ত্বকের চামড়া মরে যায় তা খশখশে থাকে।
হাটু এবং কনুইতে অনেক সময় ছোটো ছোটো বিচির মত উঠে। এই ত্বকের স্থানের সেল সঠিকভাবে কাজ করে না, তাই একটু শক্ত ও থাকে। হাটু জামা কাপরের ভিতরে থাকলেও হাতের কনুই বাহিরে থাকে। হাতের কনুই ফর্সা করতে হলে কিছু ঘরোয়া যত্ন নেওয়া উচিত।
অনেকেরই হাতের কনুই এবং পায়ের হাটুতে একটা কালচে ভাব থাকে। অনেকেই অনেক উপায় খুজে থাকেন কিভাবে এই কালচে ভাব টা কমানো যায়। আজকে এমন কিছু ঘরোয়া কেয়ার বলবো, যা প্রয়োগে হাটু এবং কনুইর কালচে ভাব খুব সহজেই দূর করতে পারবেন। আপনার হাতের কনুই এবং পায়ের হাটু আপনার মুখের মতই ফর্সা হয়ে যাবে।
লেবুর রস, এলোভেরা জেল, নারিকেল তেল এবং লবন নিন। সবগুলো একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করুন। পেস্ট যে কোনো পাএে নিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন । প্রতিদিন একটু করে মিশ্রন নিয়ে হাতের কনুই এবং পায়ের হাটুতে লাগিয়ে নিন। ভালো ফালাফল পেতে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। আপনি যদে নিয়মিত এক মাস এই মিশ্রন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার হাটু এবং কনুই সুন্দর এবং ফর্সা হয়ে যাবে।
একটি লেবু কেটে টুকরো করে তার ওপর চিনি লাগিয়ে নিন৷ কনুই এবং হাটুতে কিছুক্ষণ ঘসতে থাকুন আশা করি খুব শিগগিরই কালচে ভাব কমে যাবে। বিশেষ করে যাদের এই স্থানে ছোটো ছোটো বিচি উঠে তারা এই ঘরোয়া কাজটি করতে পারেন।
দই আমাদের ত্বকের অনেক ময়লা দূর করে। ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করে এবং খশখশে ভাব দূর করে। একটি পাএে দই, ভিনেগার, সামান্য লেবু নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। হাতের কনুই বা পায়ের হাটুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করুন। তাহলে হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালচে ভাব চলে যাবে এবং খশখশে ভাব চলে যাবে।
মৃত চামরা বা ময়লা উঠানোর জন্য বেকিং সোডা খুবই উপকারী । দুই চামচ বেকিং সোডা এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে কনুই এবং হাটুতে ২/৩ মিনিট ঘসুন। আপনার চামড়া কোমল হবে এবং ময়লা দূর হবে।
দুধ, মধু এবং হলুদ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন এবং লাগান। হলুদে এন্টিসেপটিক গুনাগুন এবং দুধ পরিষ্কারক হিসাবে কাজ করে। এগুলো কঠিন হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কঠিন স্থায়ী দাগ দূর করতে সহায়তা করে। ঘরোয়া যত্নে কনুই ও হাটুর কালচে ভাব চলে যাবে।
চিনি এবং জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হাতের কনুই ত্বকে ঘসুন। এটা ব্যবহারে ত্বকের আদ্রতা কমে যাবে এবং রসালো ভাব চলে আসবে।
হাটু এবং কনুইর মৃত চামরা উঠানোর জন্য ব্রাশ ব্যবহার করতে পারে। গোসল করার সময পানিতে যখন চামরা নরম হবে তখন ব্রাশ দেয়ে ঘসতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন পাথর কিংবা স্টিলের ব্রাস রয়েছে।
কনুই ও হাটুর কঠিন কালো দাগ উঠানোর ভালো সমাধান হচ্ছে চন্দনের ব্যবহার। নিয়মিত চন্দন ব্যবহার করলে খুব দ্রুত কালো ভাব চলে যাবে। তাছাড়া চন্দন ঘরে স্কিনের যত্ন নেয়ার সময় কনুইতে ও লাগাতে পারেন।
হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর চামড়া একটু শক্ত হয়ে থাকে। শক্ত চামড়ার কারনে কালো দাগ রিমুভ হতে একটু সময়ের দরকার।
মুলতানি মাটি দিয়ে কনুই ও হাটুর কালো চামড়া ফর্সা করার উপায়
ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটি বহু যুগ আগে থেকে ব্যবহার হচ্ছে। মুলতানি মাটি ব্যবহারে কনুই ও হাটু যেমন সুন্দর হয়, তেমনি ত্বক অনেক ভালো থাকে। মুলতানি মাটিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকা, আয়রন যা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। যাদের হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর ত্বক শক্ত তাদের জন্য বেশি উপকারী। মুলতানি মাটি শক্ত ভাব কমতে সাহায্য করে এটি। মুলতানি মাটির অদ্ভুত কিছু গুনাগুন রয়েছে যা ব্যবহার না করলে বুঝা সম্ভব না। মুলতানি মাটি হাতের কনুইর ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করে।
মুলতানি মাটি দিয়ে কনুই ও হাটুর কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া যত্ন
মুলতানি মাটির সাথে বেসন এবং চাউলের গুড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরী করতে পারেন। এটা ব্যবহারে ত্বকের কনুইর উঁচুনিচু গর্ত সোজা হয়ে যাবে৷
মুলতানি মাটির সাথে হলুদ এবং লেবু মিশিয়ে একটি পেষ্ট তৈরী করুন। এই মিশ্রন ব্যবহারের ফলে কনুই এর লাবণ্যতা ফিরে আসবে। হাতের কনুইর ত্বক আগের তুলনায় আরো মসৃন হবে।
মুলতানি মাটি ত্বকের মৃত কোষ দ্রুত পরিষ্কার করে। নিয়মিত মুলতানি মাটি ব্যবহারে কনুইর ত্বকের রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। এটি ব্যবহারে কনুইর ত্বকের লোম কুপ থেকে তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনে।
হাতের কনুইর ত্বকে মুলতানি মাটি ব্যবহারের কার্যকরী একটি পদ্ধতি রয়েছে। মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে আলতো করে কনুইতে লাগান। মুলতানি মাটি শুখিয়ে গেলে তার পর ধুয়ে ফেলুন । এটি আপনার পায়ের হাটুতে লাগাতে পারেন, হাটুর কালো দাগ দূর হবে।
অনেকের কনুইর চামড়া কম বয়সেই মোটা হয়ে যায় তাদের জন্য মুলতানি মাটি খুবই উপকারী। এটি ব্যবহারে কনুই চামড়া টান টান ভাব চলে আসে।
দৈনন্দিন কাজে হাতের কনুই বেশি স্পর্শ হয় তাই ত্বক কলো হয়ে যায়। তাছাড়া কনুইর চামড়া ঢিলে হয়ে যায়। কনুইর চামড়া ছোট ছোট গর্ত দূর করতে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল এর সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে কনুইতে লাগান সকল ছোট ছোট গর্ত দূর হযে যাবে।
ত্বকের চামড়া যেমন পাতলা থাকে কিন্তু হাতের কনুই ও হাটুর ত্বক মোটা থাকে। হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগ দূর করার জন্য একটু বেশি যত্নশীল হতে হবে।