পেওনিয়ার একাউন্ট কেনো প্রয়োজন, নতুন ফিচারসহ সেরা ১০টি সুবিধা
পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে ব্যবহার করবেন? সুবিধা অসুবিধা ও লেনদেন বিস্তারিত দেখুন। ডলার লেনদেনের জন্য পেওনিয়ার একাউন্ট কেনো প্রয়োজন। একটি পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে কাজ কাজ করে সকল লেনদেন সম্পূর্ণ করে। বাংলাদেশে কিভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলব, পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক ট্রান্সফার, Payoneer to Bkash, Fiverr to payoneer. পেওনিয়ার ভেরিফিকেশন, লিমিট ও চার্জ।
পেওনিয়ার একাউন্ট কেনো প্রয়োজন, নতুন ফিচারসহ সেরা ১০টি সুবিধা |
পেওনিয়ার একাউন্ট কি? পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা, ব্যবহারের নিয়ম৷ পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করার সহজ পদ্ধতি। পেওনিয়ার কার্ডের আবেদন পদ্ধতি ও বাৎসরিক মেইনটেইন চার্জ। Payoneer Home বিস্তারিত।
পেওনিয়ার একাউন্ট কি, ও কেনো প্রয়োজন
পেওনিয়ার একাউন্ট হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক একটি লেনদেন প্ল্যাটফর্ম। পেওনিয়ার একাউন্ট এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সকল ধরনের অনলাইন লেনদেন করা যায়। পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে যে কোন ব্যাংক একাউন্টে অতি দ্রুত টাকা ট্রান্সফার করা যায়। ফলে অনলাইন সেক্টরে এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
পেওনিয়ার একাউন্ট বিশ্বের সকল দেশের ব্যাংক একাউন্ট সাপোর্ট করে। পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে যেকোনো লেনদেন করা যায়। ব্যাংক বিহীন পেওনিয়ার অনলাইন ভিত্তিক সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়াও, কার্ড সার্ভিসসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।
পেওনিয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড নামে পরিচিত একটি কার্ড। পায়োনিয়ার একাউন্ট হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের এর জন্য একটি পেমেন্ট মেথড।
ইন্টারন্যাশনাল যেকোনো মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট গ্রহন করা যায়। তাছাড়া পেওনিয়ার পেমেন্ট গ্রহণ করে সেটা বিকাশ সহ ব্যাংকে নেয়া যায়। পায়োনিয়ার একাউন্ট নিখুঁত ইন্টারন্যাশনাল কার্ড সার্ভিস দিয়ে থাকে। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড এর মাধ্যমে যেকোনো অনলাইন ট্রানজেকশন খুব সহজভাবে করা যায়।
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড ফিচার কি
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড হচ্ছে পেওনিয়ার এর একটি পণ্য। পেওনিয়ার একাউন্ট করে খুব সহজে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড গ্রহণ করা যায়। একাউন্ট খোলা ছাড়া মাস্টার কার্ড ব্যবহার করা সম্ভব না। একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে মাস্টারকার্ডের আবেদন করতে হয়। মাস্টার কার্ড গ্রহণ করতে কোনো ডলার প্রয়োজন নেই। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড ইন্টারন্যাশনাল সকল মার্কেট গ্রহন যোগ্য।
বিশ্বের বিভিন্ন নামে দামি কোম্পানি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে পেওনিয়ার কার্ড পাওয়া যায়। অনলাইন আর্নিং ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিতেই পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকে।
একজন গ্রাহক খুব সহজেই আবেদন করে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড নিতে পারে। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড বিশ্বব্যাপী যেকোনো মার্কেটপ্লেস গ্রহন করে। তাছাড়া, এটিএম বুথ বা পজ মেশিনে ও গ্রহন করে।
পেওনিয়ার একাউন্টের সেরা ১০টি সুবিধা
পেওনিয়ার একাউন্ট ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে খুব বেশি জনপ্রিয়। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের জন্য বেশি ব্যবহার হয়। পেওনিয়ার একাউন্ট খুব বেশি ইউজার ব্যবহার করে। চলুন আজকে আমরা জেনে নিবো পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে।
- পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড বিশ্বের সকল দেশে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া যেকোনো ATM বুথ থেকে পেওনিয়ার দিয়ে টাকা তোলা যায়।
- অনলাইন মানি গ্রহন করার জন্য পেওনিয়ার সবচেয়ে বেশি ভালো সুবিধা দেয়।
- পেওনিয়ার একাউন্ট দিয়ে আনলিমিটেড লেনদেন করা যায়, ফলে ব্যাংক জনিত ঝামালে কম হয়।
- বছরজুড়ে পেওনিয়ার একাউন্ট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। পেওনিয়ার দিয়ে ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।
- পেওনিয়ার দিয়ে অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেসে শপিং করা যায়।
- পেওনিয়ার ডলার কেনা বেচা করেও ভালো বিজনেস করা যায়।
- একটি ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড যেই সুবিধা দেয়, পেওনিয়ার তার চেয়ে বেশি সুবিধা দেয়।
- ফাইবার সহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের অন্যতম পেমেন্ট ভরসা হচ্ছে পেওনিয়ার। সকল ফ্রিল্যান্সার পেওনিয়ার এর মাধ্যমে লেনদেন করে।
- পেওনিয়ার দিয়ে ডলার কেনা বেঁচা লাভজনক একটি ব্যবসা। ডলার লেনদেন করে ইনকাম করা যায়
- পেওনিয়ার বার্ষিক চার্জ খুবই কম তাই সকল লেভেলের ফ্রিল্যান্সার-রা এটি ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে কিভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলব
বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই পেওনিয়ার খোলা যায়। পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র। তাছাড়া ব্যাংক একাউন্টের বিভিন্ন তথ্য প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ থেকে যেকোনো গ্রাহক খুব সহজে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবে। যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। National id card রয়েছে তারাই কেবলমাত্র পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবে।
পেওনিয়ার একাউন্টের নতুন ফিচার
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। কোন গ্রাহক তার নিজের স্মার্টফোন দিয়ে একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারে। তাছাড়া, ভেরিফিকেশন বা অ্যাকাউন্ট ওপেনিং প্রসেস খুবই সহজ। চলুন আমরা জেনে নেই একটি পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন।
পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক ট্রান্সফার ফিচার
পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে খুব সহজেই নির্ধারিত ব্যাংক ব্যাংকে ট্রান্সফার করা যায়। পেওনিয়ার একাউন্টে টাকাটি ডলারে থাকে। ডলার কনভার্ট করে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে তোলা যায়। একজন গ্রাহকের পেওনিয়ার একাউন্ট যে নামে করা ব্যাংক একাউন্ট ও সেই নামের হতে হয়।
একই ডিটেলস দিয়ে খোলা থাকতে হবে নতুবা পেমেন্ট ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের সকল ব্রাঞ্চে টাকা তোলা যায়। পেওনিয়ার টু ব্যাংকে একদিনের মধ্যেই টাকা ট্রান্সফার করা যায়। পেওনিয়ার থেকে টাকা উইথড্র দেওয়ার একদিনের মধ্যেই বাংলায় কনভার্ট হয়ে ব্যাংকে একাউন্টে চলে আসে।
পেওনিয়ার থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে হলে ব্যাংক একাউন্ট এড করে নিতে হবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস, এবং ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্রাঞ্চ নামসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে এড করতে হবে। একবার এড করে নিলে পরবর্তীতে ব্যাংক ট্রান্সফারের সময় এড করতে হয় না। পেওনিয়ার লেনদেন করতে ব্যাংক একাউন্ট দ্বিতীয়বার দেয়ার প্রয়োজন নেই। সেইভ করা পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসা যায়।
Payoneer কার্ড দিয়ে কি অনলাইন শপিং ফিচার
পেওনিয়ার থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড গ্রহণ করে অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড ব্যতীত শুধুমাত্র পেওনিয়ার একাউন্ট দিয়ে অনলাইন শপিং-এ ব্যবহার করা যায় না। অনলাইন শপিং এর ব্যবহার করার জন্য পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড প্রয়োজন।
বিশ্বের যে সকল অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসে কার্ড গ্রহণ করে, সে সকল মার্কেটপ্লেসে কার্ড ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে বা অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসে পেমেন্ট করার সময় পেওনিয়ার কার্ড এক্সেস দেয়। অনলাইন ভিত্তিক যে কোন পেমেন্ট নির্ধারণ করার জন্য পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড অনেক বেশি জনপ্রিয়। Payoneer থেকে payoneer এ টাকা ট্রান্সফার করতে কতদিন লাগে?
Fiverr টু payoneer পেমেন্ট ফিচার
ফাইবার থেকে আর্জিত কাজের টাকা গ্রহণ করার জন্য পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট দরকার। পেওনিয়ার থেকে টাকা সংগ্রহ করার জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দরকার। ইন্টারন্যাশনাল কার্ড প্রয়োজন যেটা বিশ্বের সকল দেশে সাপোর্ট করে।
অনেকেই পে-পাল দিয়ে ফাইবার থেকে টাকা গ্রহণ করে। যাদের পে-পাল নেই, বিশেষ করে বাংলাদেশে পে-পাল গ্রহণ করে না। বাংলাদেশ থেকে ফাইবারে টাকা তুলতে হলে অবশ্যই পেওনিয়ার এর সাপোর্ট নিতে হবে।
পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে খুব ফাইবারের টাকা নিজের ব্যাংকে আনা যায়। পেওনিয়ার একাউন্টে ট্রান্সফার করতে ফাইবার একাউন্টে পেওনিয়ার একাউন্ট এড করতে হয়।
পেনিয়ার একাউন্ট থেকে নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে খুব সহজে ট্রান্সফার করে ফাইবার থেকে টাকা তোলা যায়। ফাইবার পেওনিয়ার এর পাশাপাশি পে-পাল পেমেন্ট করে। ইন্টারন্যাশনাল সকল মাস্টার কার্ড নাম্বার এড করার মাধ্যমে ফাইবার থেকে খুব সহজে পেমেন্ট নেওয়া যায়।
বিশ্বব্যাপী পেওনিয়ার একাউন্ট অনেক বেশি জনপ্রিয়। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট সেক্টরে পেওনিয়ার একাউন্ট ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং অনেকটা অসম্ভব হয়ে গিয়েছে। সকল ফ্রিল্যান্সাররা তাদের আর্জিত টাকা নিতে পেওনিয়ার ব্যবহার করে। ফলে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।
এছাড়াও, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিশ্বের অনেক ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। তারপরও, বেশিরভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ পেওনিয়ার। পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করা খুবই সহজ। পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। একজন ব্যবহারকারী বা একজন গ্রাহক একবারই মাত্র একাউন্ট খুলতে পারবে। তার ডিটেলস এবং তার ডকুমেন্টস দিয়ে একবারই খুলতে পারবে। দ্বিতীয়বার ট্রাই করতে পারবে না।