ইবিএল একুয়া, ব্রাক ব্যাংক ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইড কার্ড সুবিধা
ইবিএল অ্যাকুয়া, ব্রাক ব্যাংক ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইড কার্ড সুবিধা |
ডুয়েল কারেন্সি ইবিএল অ্যাকুয়া প্রি-পেইড কার্ডের সুবিধা
ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড সহজ ও নিরাপদ একটি মাস্টার কার্ড। ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি প্রি-পেইড কার্ডের সুবিধা। ইবিএল ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে পাওয়া যায়। EBL প্রিপেইডকার্ড বাৎসরিক সার্ভিস চার্জ কেমন। বাংলাদেশের সেরা ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইডকার্ড। ইবিএল অ্যাকুয়া প্রি-পেইড মাস্টারকার্ড রিচার্জ করার নিয়ম। পাসপোর্ট ছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেয়ার উপায়? অনলাইন ভিত্তিক পেমেন্ট করতে কোন কার্ড ভালো।
ইবিএল অ্যাকুয়া প্রি-পেইড মাস্টারকার্ড বের করার উপায়। অ্যাকুয়া কার্ডে টাকা ভরার নিয়ম, অনলাইনে কিভাবে কার্ডে কাটা ভরা যায়। ইবিএল প্রি-পেইড কার্ড স্কাই ব্যাংকিং অ্যাপে এড করার নিয়ম। EBL কার্ড সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত জানতে দেখুন। ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড ফরেন কারেন্সিতে ব্যবহার করার নিয়ম জানুন।
ইবিএল অ্যাকুয়া প্রি-পেইড কার্ড কি?
ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড হচ্ছে একটি প্রি-পেইড কার্ড। অগ্রীম টাকা লোড লোড করে এই কার্ড ব্যবহার করতে হয়। ইবিএল প্রি-পেইডকার্ডে আপনি যে টাকা ভরবেন সেটাই ব্যবহার করতে পারবেন। সারা দেশে যখন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, টিক তখনি ইবিএল প্রি-পেইড কার্ড চালু হয়। ইবিএল প্রি-পেইড কার্ড একটি ঝামেলা বিহীন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড নামধারী কার্ডটি সম্পূর্ণ প্রি-পেইড সিস্টেম।
ইবিএল ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কোনো একাউন্ট খোলা ছাড়াই কার্ডটি নেয়া যায়। এটি এমন একটি অ্যাকুয়া কার্ড যা দিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় অনেক চাহিদা মিটানো যায়। বিশেষ করে দেশীয় লেনদেন কিংবা ইউএসডি বৈদেশিক লেনদেনজনিত করা যায়। ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইন ভিত্তিক লেনদেনের জন্য ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড সেরা একটি কার্ড৷ বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রি-পেইড কার্ডগুলে ভিতরে অন্যতম এক কার্ড। বিশ্বের যেকোনো দেশে এবং বাংলাদেশের যে কোনো প্লাটফর্মে ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড ব্যবহার করে নিরবিচ্ছিন্ন লেনদেন করা যায়।
ইবিএল ডুয়েল কারেন্সি প্রি-পেইড কার্ড পাওয়ার উপায়
ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড পেতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। একাউন্ট খোলা ছাড়াই এই কার্ডটি নেয়া যায়। তিন বছরের মেয়াদে এই কার্ড নিতে হয়। কার্ডটি সম্পূর্ণ প্রি লোড হওয়াতে কোনো একাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডে টাকা লোড করে ইচ্ছে মত ইউএসডি কনভার্ট করে ব্যবহার করা যায়। ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড পেতে নিকটতম ইবিএল ব্যাংক ব্রাঞ্চে যেতে হবে। নিচে দেখুন ইস্টার্ন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রি পেইডকার্ড পেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে।
- আবেদন ফর্ম পূরন
- এনআইডি কার্ড ফটোকপি
- দুই কপি ছবি
- নমিনির এনআইডি কার্ডের কপি
তাছাড়া ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহার করতে চাইলে একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট লাগবে। তাছাড়া ইবিএল প্রিপেইডকার্ড পেতে আর কোনো ডকুমেন্টস এর দরকার নেই। ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডের আবেদন করার সময় তিন বছরের জন্য ৫০০ টাকার মত লাগবে। তিন বছরে আরো কোনো অতিরিক্ত বা চার্জ কাটবে না।তিন বছরের জন্য মাত্র ৫০০ টাকা চার্জ দিয়ে সম্পূর্ণ ঝামেলাহীনভাবে লেনদেন করতে পারবেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই কার্ডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকল ফ্রিল্যান্সারদের প্রথম পছন্দ ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড।
অ্যাকুয়া প্রি-পেইড কার্ডের সুবিধা
- ফ্রিল্যান্সিং করা টাকা ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডের মাধ্যমে গ্রহন করা যায়।
- বিশ্বের যেকোনো দেশের অনলাইন প্লাটফর্মে লেনদেন করা যায়।
- বাংলাদেশের যেকোনো বুথের মাধ্যমে ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডের টাকা উত্তলন করা যায়।
- ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড দিয়ে ফেইসবুক বুস্ট কিংবা ইউটিউব বুস্ট সহ সকল এডস রান করা যায়।
- বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের একাউন্টে ফান্ড লেনদেন করা যায়।
- বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডে টাকা এড করা যায়।
- ডোমেইন হোস্টিং সহ যেকোনো অনলাইন ট্রান্সজেকশন খুব সহজে করা যায়।
- ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড দিয়ে মোবাইল রিচার্জ সহ বিভিন্ন বিল পেমেন্ট করা যায়।
- ইউএসডি কারেন্সির ডলার খুব সহজে ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডে আনা যায়।
- সুবিধামত যেকোনো সময় কার্ড ব্লক রাকা যায়।
- ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডের মাধ্যমে একদিনে সর্বোচ্চ ৩লক্ষ টাকা প্রর্যন্ত লেনদেন করা যায়।
- একাউন্ট খোলা বা মেইনটেইন ছাড়াই এই কার্ড ব্যবহার করা যায়।
- বাৎসরিক কোনো চার্জ দিতে হয় না, তাছাড়া যেকোনো সময় কার্ড বন্ধ করে দেয়া যায়।
- ইবিএল বুথে ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত চার্জ কাটে না।
- বিশ্বের যেকোনো দেশের এটিএম বুথ থেকে অনায়াসে সেই দেশের মুদ্রায় টাকা তোলা যায়।
- ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডে ডলার খরচ করার কোনো লিমিট নেই, আপনি ইচ্ছা অনুযায়ী ডলার এন্ড্রোস করতে পারবেন।
ইবিএল অ্যাকুয়া কার্ডের আরো অনেক সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবহার না করলে বুঝতে পারবেন না। ঝামেলাবিহীন লেনদেন বা দৈনন্দিন কাজে ইবিএল প্রি-পেইড কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। তিন বছর ফ্রিতে ব্যবহার করার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলা ছাড়া বেস্ট একটি কার্ড। ইবিএল ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড বা ইবিএল অ্যাকুয়া মাস্টার কার্ড কার্ড পেতে নিকটতম ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রাক ব্যাংক ভিসা প্রি-পেইড কার্ডের সুবিধা
ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড বিভিন্ন লেনদেন কিংবা কেনাকাটার জন্য একটি জনপ্রিয় কার্ড। একাউন্ট খোলার ঝামেলা এড়াতে আপনি চাইলে এই কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারেন। চলুন যেনে নেই ব্রাক ব্যাংক ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড এর সকল বিস্তারিত।
ব্রাক ব্যাংক ভিসা প্রি-পেইড কার্ড কি?
ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড হচ্ছে একটি ব্যাংক ATM কার্ড। এটি সম্পূর্ণ ব্র্যাক ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ডটি ব্যবহার করতে হলে কার্ডটিতে টাকা ভরা লাগবে। পরবর্তীতে সেটা বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে। ব্র্যাক ব্যাংকের তিনটি প্রিপেইড কার্ড রয়েছে। যেমন ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড, ভিসা ট্রাভেল কার্ড এবং মাস্টার কার্ড অ্যাপোলো হেলথ কেয়ার কার্ড।
তিনটি প্রিপেইড কার্ড এর মধ্যে বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা গিফট কার্ড অন্যতম জনপ্রিয় কার্ড। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন প্লাটফর্মে অনেকেই ব্যবহার করে। এই কার্ডের সবচেয়ে ভালো সুবিধা হচ্ছে এটি ডুয়েল কারেন্সি সাপোর্টেড। যেকোনো ডুয়েল কারেন্সি লেনদেন করার জন্য এই কার্ডটি অনেকেই ব্যবহার করতে পারে।
বাংলাদেশের সকল ব্যাংকের কম বেশি প্রিপেইড কার্ড পাওয়া যায়। ব্রাক ব্যাংকের ভিসা প্রিপেইড কার্ডটি একটু অন্যরকম স্পেশাল সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রিপেড কার্ড মূলত এমনভাবে তৈরি করা হয়। যেগুলো পেতে কোন ধরনের অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র কার্ড নাম্বার ব্যবহার করেই সেই কার্ড নাম্বারে টাকা লোড করা যায়।
লোডকৃত টাকা থেকে খুব সহজেই লেনদেন করা যায়। এর সাথে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সম্পর্ক নেই। এই ধরনের কার্ডগুলো সকল ধরনের ছাত্রছাত্রীরা এবং বয়স্করাও ব্যবহার করতে পারে। যেহেতু কার্ডটির বাৎসরিক কোন চার্জ নেই তাই এটি চাইলে সকলেই ব্যবহার করতে পারে। অপশনাল লেনদেন কার্ড হিসেবে যেকোনো ধরনের লেনদেন বা কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করতে পারে।
ব্রাক ব্যাংকের প্রি-পেইডকার্ড কারা ব্যবহার করতে পারবে
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ড কারা ব্যবহার করতে পারবে? ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ড বাংলাদেশের সকল জনগণ ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর বা এর বেশি হয়ে থাকে তাহলে কেবল ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
ব্রাক ব্যাংক ভিসা প্রিপেইড কার্ডের ১১টি সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড এর জনপ্রিতা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। এই কার্ডটি ব্যবহার করে আপনি কি সুবিধা পাবেন চলুন জেনে নেই কিছু সুবিধা।
- ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের সকল অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করা যায়। লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন সম্পূর্ণ ঝামেলা বিহীন একটি প্রসেস।
- ব্রাক ব্যাংক প্রিপেইড ভিসা কার্ডটি একটি ডুয়েল কারেন্সি সাপোর্টেড কার্ড। যদি কখনো ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহার করতে হয় সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট এন্ড্রোসমেন্ট করে ডুয়েল কারেন্সি লেনদেন করা সম্ভব।
- ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে যেকোনো ধরনের লেনদেন করার জন্য এটি খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স বা অনলাইন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্মে ব্যবহার করে খুব সহজেই লেনদেন করা যায়।
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ করে সেই টাকা নিজের প্রিপেইড কার্ডে আনা যায়। অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করে সেই টাকা বাংলাদেশে আনার জন্য এই কার্ডটি খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
- বাংলাদেশের লোকাল বিভিন্ন প্লাটফর্মে পজ মেশিনে বা ই-কমার্স অনলাইন পেমেন্টে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা পাওয়া যায়।
- বাংলাদেশের যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং হতে ইবিএল প্রিপেইড কার্ডে টাকা ট্রান্সফার কিংবা টাকা গ্রহণ করা যায়। যে কোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করা খুবই সহজ হয়।
- ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড ব্যবহার করার জন্য অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অফার এবং লেনদেন ভিত্তিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে জানা যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডটি যেহেতু একটি প্রিপেইড কার্ড। সেহেতু বাংলাদেশের সকল ভিসা সাপোর্টেড এটিএম বুথ থেকে সরাসরি টাকা উইথড্রো করা যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ডটি ডুয়েল কারেন্সি হয়। বিশ্বের যে কোন দেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে ডলারের টাকা উইথড্রো করা যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ড কোন অ্যাকাউন্ট এর সাথে সংযুক্ত না। কোন অ্যাকাউন্ট জনিত ঝামেলা ছাড়াই দীর্ঘদিন এই কার্ড ব্যবহার করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চার্জ বাৎসরিক চার্জ থেকেও খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ডের মাধ্যমে সকল ধরনের পেমেন্ট করা যায়। তাছাড়া, মোবাইল রিচার্জ সহ মোবাইল ব্যাংকিং এর সকল ফিচার্স উপভোগ করা যায়।
ব্রাক ব্যাংকের প্রি-পেইডকার্ডের সকল চার্জ
- এককালীন কার্ড ইস্যু চার্জঃ ৫০০টাকা
- বাৎসরিক সার্ভিস চার্জঃ ফ্রি
- কার্ড রিপ্লেসমেন্ট চার্জঃ ৩০০ টাকা (কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে)
- লেনদেন স্টেটমেন্টঃ ৫০ টাকা
- বিদেশের ATM বুথে ডলার উইথড্রঃ ২% চার্জ
- বাৎসরিক এসএমএস চার্জঃ ২০০
ব্রাক ব্যাংক প্রি-পেইড কার্ড পাওয়ার ডকুমেন্টস
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড ভিসা গিফট কার্ড পেতে কোন ধরনের ঝামেলা হয় না। এক্ষেত্রে মাত্র তিনটি ডকুমেন্টস জমা দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড কার্ডটি গ্রহণ করা যায়। শুধুমাত্র ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং আবেদন ফরম পূরণ করে কার্ড সংগ্রহ করা যায়। ব্রাক ব্যাংকের নির্ধারিত ওয়েব সাইটে আবেদন ফর্ম পাওয়া যায়। প্রিপেইড কার্ড আবেদনের জন্য যে ফর্মটি পাওয়া যায় সেটি ডাউনলোড করে পূরণ করে জমা দিতে হয়। মাত্র ১০ দিনের ভেতরেই ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিপেইড গিফট কার্ডটি সংগ্রহ করা যায়।
ব্রাক ব্যাংক ভিসা প্রিপেইড গিফট কার্ড আপনিও চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া, বিস্তারিত কোনো মতামত বা প্রশ্ন জানতে চাইলে আমাদের পেইজে মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইড কার্ড সুবিধা
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড পাওয়ার উপায়? সিটি ব্যাংক প্রিপেইড কার্ড তুলতে ৫০০ টাকা লাগে। আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড সুবিধা। আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ডের বাৎসরিক সকল চার্জ। সিটি ব্যাংকের প্রি-পেইডকার্ড আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সুবিধা। বাংলা টাকা ডলারে কনভার্ট করার অ্যাপস। আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড সকল বিস্তারিত।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইড কার্ড কি
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড হচ্ছে বাংলাদেশ সিটি ব্যাংকের একটি কার্ড। কার্ডটি আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড নামে পরিচিত। যেকোনো ধরনের লেনদেন কিংবা ডলার কারেন্সিতে লেনদেন করা যায়। এটি সম্পূর্ণ একটি প্রিপেইড সিস্টেম কার্ড। অর্থাৎ এই কার্ডে প্রথমে লোড করে নিতে হবে তারপরে এই কার্ড ব্যবহার করা যায়। আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড ব্যাংক কিংবা যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে লোড করা যায়।
কার্ডের টাকা বাংলা কারেন্সি কিংবা ডলার কারেন্সিতে কনভার্ট করে ব্যবহার করা যায়। সিটি ব্যাংক আমেরিকার এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি প্রিপেইড সিস্টেম কার্ড। কার্ডটি বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সার এবং স্টুডেন্টরা বেশি ব্যবহার করে। সিটি ব্যাংক প্রিপেইড কার্ড নিতে কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড, এবং ছবি দিয়ে ৫০০ টাকা এককালীন চার্জ দিয়ে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড সেবা নেয়া যায়।
সিটি ব্যাংক প্রি-পেইডকার্ড কি ও কিভাবে কাজ করে
সিটি ব্যাংকের প্রিপেড কার্ড কিভাবে কাজ করে এটি প্রথমত জানুন। যেহেতু এটি একটি প্রিপেইড কার্ড তাই প্রথমে কার্ডে টাকা ভরে তারপর ব্যবহার করতে হয়। অগ্রিম কোন এমাউন্ট ব্যবহার করার কোন অপশন এখানে নেই। কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য লেনদেন করতে চাইলে ব্যাংকে গিয়ে লোড করতে হয়। তাছাড়া, যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে লোড করে নিতে হয়। একাউন্টে যখন টাকা এড হয় তখন এখান থেকে টাকা ব্যবহার করা যায়।
যেকোনো ব্যাংকে সাধারণ অ্যাকাউন্ট খোলার পর ভিসা কার্ড কিংবা মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকে। এইসকল কার্ড গুলো একাউন্টের সাথে লিংক করা থাকে। একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালেন্স থাকলে সেই কারাড ব্যবহার করা যায়।
এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে এটিএম কার্ডের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড একাউন্ট এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যাংক একাউন্টের বাহিরে আলাদা একটি কার্ড। এটি খুলতে কোন অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র কার্ড নাম্বার এবং ফিজিক্যালি কার্ড ব্যবহার করে যে কোন ধরনের লেনদেন করা যায়।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইডকার্ডের ১৪টি সুবিধা
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেড কার্ড বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি কার্ড। চলুন আমরা এর কিছু সুবিধা জেনে নেই।
- আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড সম্পূর্ণ ঝামেলা বিহীন একটি কার্ড। এটি বাংলাদেশের সিটি ব্যাংকের যেকোনো ব্রাঞ্চ থেকে উঠানো যায়। এক কালীন ৫০০ টাকা দিয়ে এই কার্ডটি তিন বছরের জন্য বিনামূল্যে নেয়া যায়।
- প্রতি বছর যে সার্ভিস চার্জ রয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ফ্রি। প্রথমেই শুধুমাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে আপনি এই কার্ডটি তুলতে পারবেন।
- বাংলাদেশের যে সকল এটিএম বুথে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডগুলো সাপোর্ট করে, সেখানে খুব সহজেই টাকা উইথড্রো করা যায়।
- বাংলাদেশের সকল অনলাইন ই-কমার্স বা পজ মেশিন প্ল্যাটফর্মে আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করা যায়।
- আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড এর সবচাইতে ভালো সুবিধা হচ্ছে এটি ডুয়েল কারেন্সি সাপোর্টেড একটি কার্ড। ডুয়েল কারেন্সিতে ডলারে ব্যবহার করার অপশন রয়েছে। খুব সহজে বাংলা টাকা থেকে ডলারে কনভার্ট করে ব্যবহার করা যায়।
- সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড লোকাল যে কোন প্লাটফর্মে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
- আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড দিয়ে লেনদেন করলে মেসেজের মাধ্যমে অ্যালার্ট বা জানিয়ে দেওয়া হয়।
- সিটি ব্যাংক প্রিপেইড কার্ড এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল ব্যাংক একাউন্টে সহজে লেনদেন করা যায়।
- বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে খুব সহজে আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড সাপোর্টেড থাকে।
- সিটি ব্যাংকের অ্যাপস ব্যবহার করেও সকল লেনদেন করা যায়।
- আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেড কার্ডের বাংলা টাকা কনভার্ট করে ডলার এ রূপান্তর করা যায়।
- বিশ্বের সকল অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্মে আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড ডুয়েল কারেন্সি সাপোর্টেড। যেকোনো ধরনের লেনদেন কিংবা কোন কিছু কেনাকাটা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়।
- সিটি আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড কার্ড পেতে কোন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয় না। শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি জমা দিয়েই সম্পূর্ণ ফ্রিতে আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড গ্রহণ করা যায়।
- ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড খুবই জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং করে কার্ডের মাধ্যমে বাহির থেকে অনেক রেমিটেন্স আনতে পারে।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইডকার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড পেতে তেমন কোনো যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র বাংলাদেশি একজন নাগরিক হতে হবে। গ্রাহকের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। তাহলেই সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড পাওয়া যাবে।
রিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইডকার্ড সকল চার্জ
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারের যে সকল সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হয়। চলুন আমরা জেনে নেই কার্ডের বাৎসরিক এবং সার্ভিস চার্জ।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেড কার্ড তুলতে প্রথমে ৫০০ টাকা এককালীন অগ্রিম প্রদান করতে হয়। সম্পূর্ণ ৩ বছরের জন্য ফ্রি, অর্থাৎ পরবর্তীতে বাৎসরিক কোন চার্জ প্রদান করতে হবে না। তাছাড়া কার্ডের লোড এবং রিলোডেড চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি। আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ডে টাকা ঢুকাতে বা মোবাইল ব্যাংকিং থেকে টাকা লোড করা সম্পূর্ণ ফ্রি।
সিটি ব্যাংকের অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড যদি ভেঙে যায়, কিংবা কখনো হারিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনার নতুন করে কার্ডটি ৫০০ টাকা দিয়ে তুলতে হবে। সম্পূর্ণ ডিটেলস এবং ইনফরমেশন আগের রেখেই নতুন করে কার্ডটি তুলতে ৫০০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হবে।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড দিয়ে ক্যাশ উইথড্রোল করলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে। তবে অন্যান্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে, সে সকল ব্যাংকের পলিসি অনুসারে সার্ভিস চার্জ কাটা হয়। আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডের এসএমএস এলার্ট বা তথ্য প্রদানের জন্য ২০০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হয়ে থাকে। লেনদেন স্টেটমেন্ট উঠাতে বা মান্থলি স্টেটমেন্ট দেখতে ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড বাহিরের দেশের এটিএম বুথ থেকে তুলতে চার্জ কাটে। ডলারের ক্যাশ উইড্রাল করলে সেক্ষেত্রে আড়াই পারসেন্ট থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রি-পেইড কার্ড পেতে কি ডকুমেন্টস লাগে
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়ে। প্রথমত সিটি ব্যাংকের আবেদন ফরম প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ড পাওয়ার জন্য একটি আবেদন ফর্ম। ফর্মটি সকল ব্রাঞ্চে পেয়ে যাবেন যা পুরন করে ডকুমেন্টসসহ জমা দিতে হয়। তাছাড়া, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
কেউ যদি ডলারে পেমেন্ট করে বা ডলার কারেন্সি ইউজ করেন, সেক্ষেত্রে একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এন্ড্রোসমেন্ট করে ডলার ব্যবহার করার অনুমতি নিতে হবে। তাছাড়া, বেশ কিছু কেওয়াইসি ফর্মালিটিস রয়েছে যেটা ব্যাংক করতে পক্ষ করে থাকে।
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস প্রিপেইড কার্ডে ডলার ব্যবহারে বেস সহজ। বাৎসরিক কত ডলার পর্যন্ত লিমিট রাখতে চান সেটা দিতে পারবেন। গ্রাহকের লিমিট অনুযায়ী খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম ছাত্রছাত্রীরা এবং ফ্রিল্যান্সাররা এই কার্ডটি ব্যবহার করে। এই কার্ডটিতে অ্যাকাউন্ট জনিত কোন ঝামেলা না থাকায় ফ্রিল্যান্সাররা বেশি ব্যবহার করে।