বগলের লোম চিরতরে তোলার ৭টি সঠিক নিয়ম
বগলের লোম তোলার ঘরোয়া উপায় জানতে আজকে আপনি সুন্দর প্লাটফর্মে এসেছেন। ঘরোয়া উপায় কিভাবে বগলের লোম দীর্ঘ সময়ের জন্য তোলা যায় সেই টিপস দিবো। বগলের লোম তুলতে আমি সেলুন বা পার্লারে যাই না। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসেই বগলের লোম রিমুভ করে। বগলের লোম কেনো কালো হয় তার ভাইরাল সমাধান রয়েছে। তাছাড়া, বগলের লোম তোলার কয়েকটি ভাইরাল উপায় জানতে পারবেন।
![]() |
বগলের লোম চিরতরে তোলার সঠিক নিয়ম |
বগলের লোম অনেক উপায়ে তোলা যায়, যার কিছু সঠিক ব্যবহার রয়েছে। বগল কালো হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে আপনি কিভাবে বগলের লোম তুলছেন। বেশিরভাগ মানুষের বগলে কালো হয় বগলের লোম উঠানোর সময় কিছু ভুলের কারনে। বগলের ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি বগলের লোম দ্রুত তোলার কার্যকর পদ্ধতি।
বগল কেনো কালো হয়?
বগল কালো হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বগল কালো হওয়া বা রঙ পরিবর্তন হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। কালো বগল দেখতে একটু খারাপ লাগলেও এটি তেমন কোন ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ পুরুষের মহিলাদের বগল কালো হয়ে থাকে।
কালো বগল একজন মানুষের সৌন্দর্য নষ্ট করে। অনেকেরই ধারণা বগল কালো হওয়ায় একটি সাধারণ ব্যপার। এই কথা ঠিক যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বগল কালো হওয়া স্বাভাবিক। চলুন যেনে নেই বগল কেনো কালো হয়ঃ
অতিরিক্ত ঘর্ষণঃ অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা বেশি চুলকানো হলে বগল কালো হয়। তাছাড়া, অস্বস্তিকর পোশাক পরিধান করলে বগল কালো হতে পারে। সাধারণত, হাত ও শরীরের অংশ একে অপরের সাথে ঘর্ষণ হওয়ার কারণে বগল কালো হয়ে যায়। অতিরিক্ত ঘর্ষণের ফলে উপরের স্তর গরমে কালো হয়ে যেতে পারে।
বেশি টাইট জামা পরার ফলে এমন ঘর্ষণজনিত কারণে বগল বেশি কালো হয়। গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের ফলে এবং ঘর্ষনের কারনে বগল কালো হতে পারে। তাছাড়া, বগল সবসময় ঢাকা থাকলে সেখানে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা যার কারণে বগল কালো হয়।
ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমঃ কিছু ত্বক ফর্সা করার ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের কারনেও বগল কালো হতে পারে। বিভিন্ন ক্রিমের কেমিক্যাল অংশ বগলের স্ক্রিনের সাথে এটাচ করতে পারে না। ক্রিম বা লোশনের ক্ষতিকর অংশ বগলের চামড়া কালো করে। তাছাড়া বিভিন্ন এলার্জি আক্রমণের কারণে বগল কালো হয়। বেশিরভাগ মানুষের কমবেশি এলার্জি সমস্যা রয়েছে। এলার্জি চুলকানির কারণেও বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ত্বক কালো হতে পারে।
হরমোনাল পরিবর্তনঃ গর্ভাবস্থা, পিরিয়ড বা অন্যান্য হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে বগল কালো হতে পারে। মেয়েদের এই সময় ত্বকে কালো ছোপ বা দাগ হয়ে থাকে। হরমোনের সমস্যার কারনেও বগলের অংশ কালো হয়ে থাকে।
অনেকেই হঠাৎ করে মোটা হয়ে যায় তখন শরীরের অনেক অংশে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। মোটা পরুষ এবং মহিলাদের বগল বেশি কালো হয়। নরমাল অবস্থায় হাতের অংশ ও শরীরের অংশ যদি সবসময় লেগে থাকে এবং ঘর্ষণ হতে থাকে তখন বগল কালো হয়।
অতিরিক্ত ঘামঃ অতিরিক্ত ঘামে বগল কালো হওয়া স্বাভাবিক। ত্বক ভিজে থাকলে বগলে মেছতা বা কালো দাগ পড়ে। গরমের সময় ঘাম ড্রেসের সাথে লেগে থাকে, ফলে বগল দ্রুত কালো হয় যায়। বিভিন্ন সিক্রেট অঙ্গসহ বগল ও দ্রুত ঘামাতে থাকে ফলে বগল কালো হয়ে যায়।
অতিরিক্ত বগলের লোম তোলাঃ বগল অতিরিক্ত শেভিংয়ের কারণে কালো হতে পারে। রেজার বা ক্ষুরের মাধ্যমে বগলের লোম তুললে বগল কালো হয়। স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশি সেইভিং করার ফলে বগল দ্রুত কালো হয়।
জিনগত সমস্যাঃ বগল কালো হয়ে যাওয়া অনেকের জন্য এটি বংশগত হতে পারে। বংশীয় কারনেও মানুষের বগল বা ত্বক কালো হওয়ার প্রবণতা থাকে।
বগল কালো হয়ে যাওয়া এটি সাধারণত তেমন বিপদজনক নয়। যদি কারো এটি অধিক সমস্যা সৃষ্টি করে বা অন্য লক্ষণ মনে হয় তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো। বগলের স্কিনের পরিবর্তন যেকোনো সময় হতে পারে। যেহেতু বগল কালো হওয়া স্থায়ী না, তাই বগল ফর্সা করা সম্ভবপর।
বগলের লোম কিভাবে রিমুভ করবেন
বগলের লোম কিছুদিন পর পর বড় হয়ে যায় তাই বগলের লোম তুলে ফেলা উচিত। বগলের লোম তুলে ফেলা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। লোম তোলার সময় সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত। বগলের লোম বিভিন্ন উপায়ে তোলা যায়। তবে, এমন কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত যাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। চলুন যেনে নেই বগলের লোম কিভাবে খুব সহজে তুলবেন। কোনো যন্ত্রণা বা ব্যথা ছাড়াি ঘরোয়া উপায়ে বগলের লোম তুলতে পারেন।
ক্ষুর বা রেজার দিয়ে বগলের লোম তোলার নিয়ম
শেভিং বগলের লোম তোলার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি। তবে অতিরিক্ত শেভ করলে বগল কালো হয়ে যাবে। শেভিং করার ক্ষেত্রে সবসময় ভালো ক্ষুর ব্যবহার করা উচিত। নিচে দেখুন কিভাবে বগলের লোম তুলতে শেভিং করবেন।
বগলের লোম শেভিং করার আগে বগল ভেজানো উচিত। লোম তোলার জেল বা শেভিং ক্রিম লাগাতে পারেন। এগুলো লাগালে বগলের লোম ও ত্বক নরম হয়ে যায়। দাড়ি শেইভ করার ক্রিম লাগরে বগলের লোম সহজে ওঠে। ক্রিম লাগানোর পরে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন।
লোমের দিকের বিপরীতে শেভ করুন। কখনো ক্ষুর উল্টো টানবেন না, এতে স্কিন নষ্ট হতে পারে। ক্ষুর উল্টো টানলে লোমের গোড়া ফুলে যায়। ক্ষৃর বাবহারের সময় খুব জোরে চাপ দেয়া উচিত না। বগলের লোম তোলার সময় ক্ষুর আস্তে আস্তে টানা উচিত। তারাহুরো করে কাটলে ত্বক কেটে যেতে পারে।
ক্ষুর দিয়ে বগলের লোম তোলার সুবিধা ও অসুবিধা
ক্ষুর দিয়ে বগলের লোম তোলার কিছু লাভ এবং ক্ষতি রয়েছে। রেগুলার ক্ষুর বা রেজার ব্যবহার করলে স্কিনের বেশ কিছু পরিবর্তন হতে পারে।
ক্ষুর দিয়ে বগলের লোম তোলার সুবিধা
ক্ষুর ব্যবহার করে বগলের লোম তোলা খুবই সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি। এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে লোম মুছে ফেলতে সহায়তা করে। ঘরে বসেই ক্ষুর ব্যবহার করে লোম তোলা যায়, এমনকি কারো সাহায্যের দরকার হয় না।
ক্ষুর বা রেজার অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় অনেক সস্তা। একটি ক্ষুর দিয়ে দীর্ঘদিন বগলের লোম তোলা যায়। বাজারে ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকার ভিতরে অসংখ্য ব্রান্ডের রেজার রয়েছে। একটি রেজার দিয়ে বগলের লোম ২০ থেকে ৩০ বার তোলা যাবে। ওয়াক্সিং বা লেজার রিমুভের চেয়ে এটি অনেক কম খরচে করা যায়।
ক্ষুর দিয়ে লোম তোলার ক্ষেত্রে ত্বকে সামান্য আঘাত বা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঠিকভাবে শেভিং করতে জানলে কোনো ক্ষতি ছাড়াই খুব দ্রুত বগলের লোম তোলা যায়। ক্ষুর দ্বার বগলের লোম তোলার সবচেয়ে ভালো দিক হলো খুব ক্লিন ভাবে শেভিং করা যায়।
ক্ষুর দিয়ে বগলের লোম তোলার সুবিধা
রেজার দিয়ে বগলের লোম তোলার সময় ত্বক কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বগল খুবই নরম এবং সংবেদনশীল স্থান। সুতরাং তাড়াহুড়ো বা অতি শক্তিতে রেজার চালালে ত্বক কাটে যাওযার সম্ভাবনা থাকে। ভালো ক্ষুর না হলে ত্বক কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
রেজার দিয়ে বগলের লোম তোলা হলে খুব দ্রুত আবার বড় হয়ে যায়। ক্ষুর কেবল ত্বকের উপরের স্তর থেকে লোম সরায়। ক্ষুরের মধ্যমে লোম কাটলে লোমের গোড়া থেকে দ্রুত লোম বেড় হতে থাকে। বগলের পুনরায় ১-২ দিন বা কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা যেতে পারে।
রেজার ব্যবহার করার পর বগলের ত্বক পরিষ্কার না করলে ত্বক শুষ্ক থাকে। তাছাড়া, ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বগলের ত্বক অতিরিক্ত কোমল এবং আর্দ্র থাকে তাই মাঝে মাঝে চুলকানি হতে পারে।
ক্ষুর বা রেজার ব্যবহার করলে বগলের ত্বকের নিচে ছোট ছোট ফোলিকল বা ব্ল্যাকহেডস তৈরি হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে, লোম ত্বকের নিচে আটকে যেতে পারে। তাছাড়া বগলের লোমের গোড়া ফুলে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
বগলের ত্বক যদি সংবেদনশীল থাকে, তাহলে রেজার ব্যবহারে ত্বক বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারে। শেভিং ক্রীম বা জেল না ব্যবহার করলে আরো শুষ্ক এবং অতিরিক্ত সংবেদনশীল করে।
বগলের লোম তোলার ওয়াক্সিং ক্রিম বা স্ট্রিপ
বগলের লোম তোলার জন্য ওয়াক্সিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি বগলের লোম গভীরভাবে সরিয়ে দেয়। তাছাড়া ওয়াক্সিং পদ্ধতি ছোটো বড় সকল লোম তুলে দেয় ও বেশ কিছুদিন লোম বাড়তে দেয় না। হার্ড ওয়াক্সিং পদ্ধতি কিছুটা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। বাজারে বিভিন্ন ওয়াক্সিং স্ট্রিপ বা ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো খুব কার্যকর।
বগলের লোম তুলতে ওয়াক্সিং ক্রিম লাগিয়ে কিছুক্ষণ পরে শক্ত হলে টেনে তুলতে হয়। এটি সক্ত হয়ে সকল লোম এর সাথে আটকে যায়, ফলে খুব দ্রুত লোম উঠে যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বগলের লোম তোলার ওয়াক্সিং ক্রিম বানিয়ে নিতে পারেন। যদি সম্ভব না হয় অনলাইন থেকে ওয়ক্সিং স্ট্রিপ বা টেপ কিনে সেগুলো দিয়ে বগলের লোম তুলতে পারেন।
প্রথমবারের মতো ওয়াক্সিং করতে চাইলে একটি পার্লারের সাহায্য নিতে পারেন। পার্লারের পেশাদাররা এটি নিরাপদভাবে করতে পারে।
হেয়ার রিমুভাল ক্রিম দ্বারা বগলের লোম তোলার নিয়ম
হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করেও বগলের লোম তোলা যায়। হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ঝামেলা বিহীন একটি নিরাপদ পদ্ধতি। কোনো ধরনের ব্যথা বা সময় নষ্ট হওয়া ছাড়াই বগলের লোম তোলা যায়। শুধুমাত্র এই ক্রিম লাগিয়ে রাখলে কিছুক্ষণ পর মুছে ফেললে সকল লোম উঠে যায়।
Veet হেয়ার রিমুভেবল ক্রিম অনেক জনপ্রিয় ও এটি দ্বারা বগলের লোম লোম তোল একটি সহজ পদ্ধতি। এটি ত্বককে নরম করে এবং লোমকে ত্বক থেকে মুছে দেয়। হেয়ার রিমুভাল ক্রিম অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত না কারন এটি ব্যবহারে বগল কালো হয়ে যেতে পারে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বগলের দাগ বা এলার্জি চুলকানির সমস্যা হতে পারে। ত্বকের কন্ডিশন অনুযায়ী উপযুক্ত হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বেছে নিন। কারণ কিছু ক্রীম ত্বককে শুষ্ক বা সংবেদনশীল করে।
ক্রিম দিয়ে বগলের লোম উঠানোর সঠিক পদ্ধতি
- প্রথমে ক্রিম অল্প পরিমাণে ত্বকে লাগিয়ে টেস্ট করুন। যদি নতুন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত। হাতের কোনো অংশে লাগিয়ে চেক করুন কোন সমস্যা বা অস্বস্তি হয় কিনা।
- হেয়ার রিমুভেবল ক্রিম ব্যবহারের আগে বক্সে দেওয়া নির্দেশনা পড়ুন। সাধারণত ক্রিম ৫-১০ মিনিটের বেশি ত্বকে রাখা উচিত নয়। অতিরিক্ত সময় ধরে বগলে রাখলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তোলার পরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ক্রিম ব্যবহার করার পরে ত্বক শুষ্ক বা রুক্ষ হতে পারে। সুতরাং, বগলের ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তোলার সুবিধা
ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তোলার পদ্ধতিটি দ্রুত এবং সহজ। চলুন যেনে নেই হেয়ার রিমুভাল ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তোলার সুবিধা।
- ক্রিম দিয়ে লোম তোলা খুবই সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি। মাত্র কয়েক মিনিটেই বগলের লোম তোলা যায় । শুধুমাত্র ক্রিম লাগান এবং কিছুক্ষণ পরে তুলে পেলুন। এখানে সময় কম লাগে এবং কোনো বড় প্রস্তুতির দরকার হয় না।
- শেভিং বা ওয়াক্সিংয়ের তুলনায় হেয়ার রিমুভেবল ক্রিম ব্যবহারে কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হয় না। তাছাড়া এটি করতে কোনো প্রশিক্ষনের দরকার নাই। ঘরে বসেই ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তুলে ফেলা যায়।
- ক্রিম দিয়ে লোম তোলার খরচ অনেক কম।বাড়িতে বসেই ক্রিম ব্যবহার করে লোম তোলার কাজটি করতে পারবেন। বগলের লোম তুলতে বিশেষজ্ঞ বা পার্লারে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এই পদ্ধতি অনেক সময় ও অর্থ বাঁচায়।
- ক্রিম লোম উঠানোর সাথে সাথে ক্রিম ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। কোনো ধরনের যন্ত্রণা বা ব্যথা অনুভূত ছাড়াই বগলের লোম তোলা যায়।
- অন্যান্য পদ্ধতির মতো, ক্রিম ব্যবহার করে লোম তুললে তা দ্রুত পুনরায় বড় হয় না। যদিও এই পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান না, তারপরেও কিছুদিনের জন্য লোম মুক্ত থাকা সম্ভব।
ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তোলার অসুবিধা
কিছু ক্রিমে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা বগলের ত্বকে অ্যালার্জি বা জ্বালাতন হতে পারে। প্রথমবার ব্যবহার করার আগে ত্বকের ছোট অংশে পরীক্ষা করা উচিত। যদি ত্বক লাল হওয়া বা জ্বালাপোড়া দেখা দেয় তাহলে ব্যবহার না করাই ভালো। অনেকে ত্বকের এলার্জি থাকে তাদের জন্য এটি ব্যবহার না করাই উত্তম।
বগলের লোম লোম উঠানোর ক্রিম ব্যবহারের সময় যদি ত্বকে বেশি সময় রেখে দেন তাহলে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহার না করাই ভালো। এটা ত্বকের শুষ্কতা, লাল বা ঝলসে যাওয়ার কারণ হতে পারে। বর্তমান বাজারে বগলের লোম তোলার যে ক্রিম পাওয়া যায় তা ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্বারা তৈরি।
কিছু কিছু হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে তীব্র গন্ধ থাকতে পারে যা অস্বস্তিকর লাগতে পারে পারে। যদিও গন্ধ কিছুটা সময়ের পর থাকে না। লোম তোলার ক্রিম বেশি ব্যবহারে বগল কালো হয়ে যেতে পারে।
লেজার দিয়ে বগলের লোম তোলা
লেজার হেয়ার রিমুভাল দীর্ঘমেয়াদী ভালো ফলাফল দিতে পারে। এটি বগলের ত্বকের নিচে লোমের শিকড় লক্ষ্য করে কাজ করে। আমাদের দেশে এটি খুব ব্যয়বহুল হওয়াতে অনেকই করাতে পারে না। লেজারের মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে বগলের লোম তুলে ফেলা যায়। হোয়ার রিমুভাল লেজার বগলের লোমের গোড়া থেকে উঠিয়ে দেয়, তাই এটি মোটামুটি স্থায়ী।
এপিলেটর বা ট্রিমার দিয়ে বগলের লোম তোলা
এপিলেটর একটি ছোট ডিভাইস যা বগলের লোম তুলে ফেলে। ট্রিমার বা এপিলেটর একটি ডিজিটাল ডিভাইস। যখনতখন কোনো ঝামেলা ছাড়াই এগুলো ব্যবহার করে বগলের লোম তোলা যায়। এই ডিভাইসের মাধ্যমে বগলের লোম গভীর ভাবে না তুললেও এটি খুব চমৎকার একটি পদ্ধতি। প্রথমে ত্বকে ভালোভাবে পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। অনেক সময় বগল ঘামে বা ভিজে ভাব থাকে তাই যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং এপিলেটর কাজ করতে সুবিধা হয়।
চিনি এবং লেবুর প্যাক দিয়ে বগলের লোম তোলার নিয়ম
প্রাকৃতিক উপায়ে বগলের লোম তুলতে চিনি এবং লেবু ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায় এটি তৈরি করে খুব দ্রুত লোম তোলা যায়। লেবুর অ্যাসিড ত্বককে পরিষ্কার করবে এবং চিনি স্ক্রাবিংয়ের মতো কাজ করে। চিনি এবং লেবুর মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। কিছুক্ষণ নেড়ে বগলে ভালোভাবে স্ক্রাব করুন। এটি লোম নরম করতে সাহায্য করে এবং একাধিক ব্যবহারে ধীরে ধীরে লোম দূর হয়ে যায়।
চিনি এবং লেবুর প্যাক দিয়ে বগলের লোম তোলার লাভ ক্ষতি
- চিনি এবং লেবু দিয়ে বগলের লোম তোলার পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে ত্বক পরিষ্কার থাকার দিকে মনোযোগ দিন।
- লেবু ও চিনির প্যাক কখনোই খুব শক্তভাবে ঘষবেন না বা অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- বগলের লোম তুলতে লেবুর রস ও চিনি খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। এটি ঘরে বসেই বানানো যায় এবং বগলের লোম তুরতে দ্রুত সাহায্য করে।
বগলের লোম তোলার veet ক্রিম কি ও সুবিধা
Veet একটি জনপ্রিয় হেয়ার রিমুভাল স্কিন ক্রিম। বগলের ত্বক থেকে অবাঞ্ছিত লোম সহজে ও ব্যথাহীনভাবে দূর করতে সাহায্য করে। Veet খুব বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে লোমের গোড়া পর্যন্ত কাজ করে। পাশাপাশি বগলের ত্বক মসৃণ ও নরম রাখে।
Veet ক্রিমের কিছু বৈশিষ্ট্য:
- দ্রুত কার্যকরী – মাত্র ৩-৬ মিনিটের মধ্যেই বগলের লোম সরিয়ে দেয়।
- ব্যথাহীন পদ্ধতি – Veet ক্রিম দিয়ে বগলের লোম তুলতে, রেজার বা ওয়াক্সিংয়ের মতো ব্যথা লাগে না।
- ত্বকের যত্ন নেয় – ভিট ক্রিমে অ্যালো-ভেরা, ভিটামিন ই ইত্যাদির মতো উপাদান থাকে যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
- বিভিন্ন ত্বকের জন্য উপযুক্ত – Veet ক্রিম সাধারণ ত্বক , সংবেদনশীল এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য আলাদা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়।
ভিট (Veet) ক্রিমের সঠিক ব্যবহারবিধি
- বগলের লোম তুলতে প্রথমে ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো করে নিন।
- Veet ক্রিম বগলের ত্বকে সমানভাবে প্রয়োগ করুন। চামচের মতো স্প্যাটুলা ব্যবহার করতে পারেন, যা ক্রিমের সাথে দেয়া হয়।
- বগলে লাগানোর পরে ৩-৬ মিনিট অপেক্ষা করুন। খেয়াল রাখবেন সময় যেনো ১০ মিনিটের বেশি না হয়।
- স্প্যাটুলা বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে লোশন বা ত্বক ভালো রাখার ক্রিম দিন, যাতে বগলের ত্বক মসৃণ ও নরম থাকে।
মিনোক্সিডিল ৫% দিয়ে টাক মাথায় চুল গজানোর টিপস
বগলে ভিট (Veet) ব্যবহারে সতর্কতা
- বগলের ত্বক পাতালা হয় তাই আগে এলার্জি সমস্যা টেস্ট করুন। শরীরের অন্য কোনো অংশে লাগিয়ে টেষ্ট করুন সমস্যা হয় কিনা।
- কাটা, ফোলা, ঘা-যুক্ত বা সংবেদনশীল স্থানে ভিট ব্যবহার করবেন না।
- চোখ বা ব্যক্তিগত সংবেদনশীল স্থানে Veet প্রয়োগ করবেন না। যদি বগলের লোম তুলতে ব্যবহার করেন তাহলে সাবধানতার সাথে লাগাবেন।